নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৪:০০ পিএম, ১৫ এপ্রিল, ২০২১
স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ (স্বাচিপ) এর মহাসচিব অধ্যাপক ডা. এম এ আজিজ বলেছেন, চলমান কঠোর লকডাউনে চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীরা মানুষের চিকিৎসাসেবা দেয়ার জন্য ঘরের বাইরে বের হচ্ছেন। এজন্য আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর উচিত তাদেরকে চ্যালেঞ্জ না করা। যদিও প্রথম দিনের লকডাউনে অনেক চিকিৎসককে পুলিশের জেরার মুখে পড়তে হয়েছে এবং জরিমানাও গুনতে হয়েছে। তবে চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদেরও উচিত যথাযথ পরিচয়পত্র সঙ্গে নিয়ে রাস্তায় বের হওয়া।
চলমান করোনা পরিস্থিতি, কঠোর লকডাউন এবং করোনা চিকিৎসার বিভিন্ন দিক নিয়ে বাংলা ইনসাইডারের সঙ্গে একান্ত আলপচারিতায় এসব কথা বলেছেন ডা. এম এ আজিজ। পাঠকদের জন্য ডা. এম এ আজিজের সাক্ষাৎকার নিয়েছেন বাংলা ইনসাইডারের নিজস্ব প্রতিবেদক জুয়েল খান।
ডা. এম এ আজিজ বলেন, সরকার এবার যে ১৩ দফা নির্দেশনা দিয়েছে সেটা মানা হলেও লকডাউন হবে। আর নির্দেশনা মানানোর জন্য আইন শৃঙ্খলা বাহিনী যথেষ্ট সক্রিয় ভূমিকা পালন করছেন। এবারের এই লকডাউন যে কঠোরভাবে মানা হচ্ছে এ বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই। এর বড় প্রমাণ হচ্ছে লকডাউনের প্রথম দিনে অনেক চিকিৎসককেও পুলিশের জেরার মুখে পড়তে হয়েছে। এভাবে যদি কিছুদিন কঠোর বিধিনিষেধ এবং স্বাস্থ্যবিধির মধ্যে মানুষকে রাখা যায় তাহলে সংক্রমণ কমে আসবে। আর সংক্রমণ কমে আসলে লকডাউন কমিয়ে কঠোর স্বাস্থ্যবিধি মানানোর দিকে জোর দিতে হবে।
প্রথম দিনের লকডাউনে চিতিৎসকদের সঙ্গে পুলিশের মুভমেন্ট পাস নিয়ে যে ঘটনা ঘটেছে সেটার বিষয়ে তিনি বলেন, প্রথম দিনের লকডাউনে চিকিৎসকদের সঙ্গে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর কিছুটা ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে। আর এ কারণে কয়েকজন চিকিৎসককে জরিমানাও করা হয়েছে। কিন্তু ঘটনাটি অনাকাঙ্খিত। আগামী দিনগুলোতে এ ধরনের ঘটনা ঘটবে না। কোনো চিকিৎসক যদি নিজের পরিচয়পত্র দেখাতে পারেন তাহলে তার কোনো জরিমানা হবে না যেমনটা হয় গণমাধ্যম কর্মীদের ক্ষেত্রে।
ডা. এম এ আজিজ বলেন, মাঠ প্রশাসন কিংবা পুলিশ প্রশাসন যারা লকডাউন বাস্তবায়ন করবেন তারা যাতে নিরাপদ থাকেন সেজন্য তাদের স্বাস্থ্যবিধি, ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ডোজ এবং থাকার জায়গায় স্বাস্থ্যবিধি মানা এবং নিরাপদে থাকার বিষয়টি অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে। তারা নিজেরা যদি সুরক্ষিত না থাকে তাহলে অন্যদের সুরক্ষার দায়িত্ব তারা কীভাবে নেবে। তাদের টিকার দ্বিতীয় ডোজ দিলে তাদের আক্রান্তের ঝুঁকি কম থাকবে এবং নিরাপদে থেকে দায়িত্ব পালন করতে পারবেন।
তিনি আরও বলেন, আমরা যতই হাসপাতালের অবকাঠামো বৃদ্ধির কথা বলি কিন্তু এটা কোনো বাস্তবসম্মত সমাধান নয়। সংক্রমণ যদি কমানো না যায় তাহলে যতই হাসপাতালের বেডের সংখ্যা বাড়ানো হোক সেটা কোনো কাজে দেবে না। এখন বাসায় থেকে স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে। নিয়মিত হাত ধোয়া, স্বাস্থ্যবিধি মানা, পুষ্টিকর খাবার খাওয়া এবং নিয়মিত ব্যায়াম করতে হবে যাতে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করা যায়। আমরা নিজেরা যদি সচেতন না হই তাহলে করোনা মোকাবেলায় সফলতা কঠিন। তবে সরকার ইতিমধ্যে হাসপাতাল ব্যবস্থাপনা, টিকা ব্যবস্থাপনাসহ সব ধরনের কার্যক্রমে অনেক এগিয়ে বলে মনে করেন এই চিকিৎসক নেতা
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ঢাকা-৮ আসনের সংসদ সদস্য আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেছেন, যারা দলের নির্দেশনা মানতে পারেননি, তারা তো না পারার দলে। দল থেকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে যে, কোন মন্ত্রী-এমপির পরিবারের সদস্য বা নিকট আত্মীয় স্বজনরা উপজেলা নির্বাচন করতে পারবেন না। এটা ছিল দলের বৃহত্তর স্বার্থে। সেজন্য সেটা পালন করা সবাই নৈতিক দায়িত্ব ছিল। কিন্তু যখন কেউ কেউ সেই নির্দেশ মান্য করেননি সেটার দায়-দায়িত্ব তাকেই বহন করতে হবে। দলের প্রতি তাদের কমিটমেন্ট নিয়ে আমার বড় প্রশ্ন রয়েছে।
আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য এবং বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেছেন, উপজেলা নির্বাচনে স্বজনদের ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে সিদ্ধান্ত দিয়েছেন এর মধ্য দিয়ে একটি স্পষ্ট হয়েছে যে, রাজনীতির মধ্য দিয়েই প্রধানমন্ত্রীর উত্থান হয়েছে এবং তিনি যে দল ও ত্যাগী নেতাদের ভালোবাসেন, তাদের প্রতি যে তার মমত্ববোধ সেটি প্রকাশ পেয়েছে। আওয়ামী লীগ সভাপতির এই সিদ্ধান্তের কারণে দলের ত্যাগী নেতাকর্মীরা রাজনীতিতে নতুন আলোর সঞ্চার দেখছেন এবং তারা নিঃসন্দেহে অনুপ্রাণিত হয়েছেন। তারা আশ্বস্ত হয়েছেন যে, রাজনীতি রাজনীতিবিদদের কাছেই থাকবে।
প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও মেডিসিন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. এবিএম আব্দুল্লাহ বলেছেন, কেউ যদি হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত হয় তাহলে তাকে যত দ্রুত সম্ভব ছায়াযুক্ত স্থানে নিতে হবে। ঘরে থাকলে ফ্যান ও এসি চালু করে তাকে ঠান্ডা স্থানে রাখতে হবে। ভেজা কাপড় দিয়ে শরীর মুছে দিতে হবে। বেশি বেশি পানি, ফলের জুস পান করাতে হবে। আক্রান্ত ব্যক্তির প্রেশার কমে যাওয়া, প্রস্রাব বন্ধ, পালস কমে যাওয়া বা অজ্ঞান হয়ে গেলে দ্রুত আক্রান্ত ব্যক্তিকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে।
ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইসহাক আলী খান পান্না বলেছেন, বুয়েটে শুধু ছাত্রলীগ ছাত্ররাজনীতি চায় না। অন্যান্য ছাত্র সংগঠনগুলোও তো ছাত্ররাজনীতি চায়। তাহলে কেন শুধু এখন সামনে ছাত্রলীগের নাম সামনে আসছে। বুয়েটে যারা ছাত্ররাজনীতি চাচ্ছে তাদের প্রথম পরিচয় তারা বুয়েটের ছাত্র। আর বুয়েট কর্তৃপক্ষ যেটা করেছে যে, ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতি বন্ধ করেছে, এটা বুয়েট প্রশাসন করতে পারে না। তাদের এখতিয়ার নেই। দেশের প্রচলিত মৌলিক আইন যেখানে আমাকে অধিকার দিয়েছে বুয়েট সেটা নিষিদ্ধ করতে পারে না। আইনে বলা হয়েছে, দেশের প্রচলিত আইন এবং নিয়মের মধ্যেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো পরিচালিত হবে। সেখানে বুয়েট তো বাংলাদেশের বাইরের কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নয়। দেশের নিয়মেই তো বুয়েট চলার কথা। কিন্তু সেখানে বুয়েট প্রশাসন কীভাবে আমার মৌলিক অধিকার রহিত করে? আমার ক্যাম্পাসে আমি মুক্ত চিন্তায় ঘুরবো, আমি কথা বলবো, আমি স্লোগান দিবো, আমি বক্তৃতা দিবো, আমি পড়াশুনা করবো। এটা থেকে বুয়েট কর্তৃপক্ষ কীভাবে আমাকে বঞ্চিত করতে পারে।
বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবদুল মান্নান বলেছেন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে বিআইডিএস যে গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে সেটাই হচ্ছে প্রকৃত চিত্র। বিআইডিএসের গবেষণার প্রতি আমার পূর্ণ আস্থা আছে। কারণ তারা কতগুলো গবেষণা পদ্ধতি নিয়ে কাজ করে যেগুলোর বৈজ্ঞানিক ভিত্তি আছে। সুতরাং বিআইডিএস যেটা বলছে সেটার সঙ্গে আমি দ্বিমত পোষণ করছি না।